দীর্ঘদিন পেইন-কিলার মেডিসিন খাওয়ার ফলে আমাদের কিডনি, লিভার, পাকস্থলী ক্ষতিগ্রস্ত হয়। রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। তখন খুব অল্পতেই বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে যাই। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ২ কোটিরও বেশি মানুষ কিডনি রোগে আক্রান্ত। বছরে প্রায় ৪০ হাজার মানুষ কিডনি ড্যামেজ হয়ে মৃত্যুবরণ করে।
❝রাসূল(সাঃ) বলেন; তোমরা যে সকল চিকিৎসা করো তার মধ্যে সর্বোত্তম হচ্ছে হিজামা। ❞
(সহিহ বুখারীঃ ৫৬৯৭)
মাইগ্রেনের ব্যথায় নির্দিষ্ট কোনো সমাধান নেই মেডিসিনে। তবে হিজামা করে আমাদের বেশ অনেকজন পেশেন্ট ভালো হয়েছে।
Cervical vertibue তে কোনো সমস্যা হলে ঘাড় ব্যথা হয়। দীর্ঘ সময় বসে কাজ করলে ব্যথা হয় পিঠে। হিজামা করে ব্লাড সার্কুলেশন বাড়লে ঘাড়-পিঠে ব্যথা ভালো হয়।
L4,L5&S1 হাড়ে ক্ষয় কিংবা Sciatic নার্ভের চাপের কারনে কোমড়ে অসহনীয় ব্যথা অনুভব হয়। অপারেশন ফেরত পেশেন্টও হিজামা করে সুস্থ জীবনে ফিরেছে।
হাঁটুব্যথার অন্যতম কারণ বয়সজনিত অস্থিসন্ধির ক্ষয় বা অস্টিওআর্থ্রাইটিস। এ ছাড়া অতিরিক্ত শারীরিক ওজন, বাতসহ নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার ফলে হাঁটুতে ব্যথা হতে পারে। হিজামা করে খুব সহজেই হাঁটু ব্যথা নিরাময় করা সম্ভব।
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হলে মাংশপেশিতে ব্যথা হতে পারে। এ ছাড়া পেশিতে ইনফেকশন বা সংক্রমণ হলে, কোনোভাবে আঘাত পেলে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত ব্যথা থাকতে পারে। হিজামা করলে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
ব্লাডে ইনসুলিন রিলিজ না হলে রক্তে শর্করা বেড়ে গিয়ে ডায়াবেটিস বেড়ে যায়। হিজামা করে Pencreas অর্গানের সমক্ষতা বাড়ানোর মাধ্যমে ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। পাশাপাশি থাইরয়েড ও হিজামা করে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
অনিয়ন্ত্রিত লাইফস্টাইলের কারনে বিশেষ করে মহিলাদের এসব সমস্যা হয়। হিজামা করার পাশাপাশি লাইফস্টাইল মডিফিকেশন করে এসব সমস্যার পরিপূর্ণ সমাধান করা যায়।
উচ্চরক্তচাপের কারনে শরীরের ভাইটাল অর্গান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দীর্ঘদিন এভাবে চললে স্ট্রোক সহ অন্যান্য নানাবিধ রোগ হয়। হিজামা করে উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। যৌন সমস্যাতেও আমাদের অনেক পেশেন্টের উন্নতি হয়েছে।
সঠিক গাইডলাইন ফলো করে এসব সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। হিজামার পাশাপাশি ডায়েট প্লান ফলো করলে সমাধান হবে ইনশাআল্লাহ
হিজামা চিকিৎসায় মেডিকেল প্রসিডিউর রয়েছে। তাই অবশ্যই ডাক্তার এবং অভিজ্ঞ থেরাপিষ্টের পরামর্শে হিজামা নেওয়া উচিত। অন্যথায় আপনি বিভিন্ন ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন।
১. খালি পেটে আসবেন। হিজামার পূর্বে অন্তত পক্ষে চার ঘন্টা খালি পেটে থাকলে ভাল।
২. গোসল করে আসবেন।
৩. আপনার যদি স্ট্রোক জনিত ইতিহাস থেকে থাকে বা হার্টের কোন সমস্যা থেকে থাকে তাহলে আপনার হয়তো এ্যাসপিরিন বা ক্লপিড জাতীয় রক্ত পাতলা করার ঔষধ চলছে। হিজামা করার ৭২ ঘন্টা আগেই এজাতীয় ঔষধ আপনার কার্ডিওলজিস্ট/নিউরোলজিস্ট/ ফিজিশিয়ান এর অনুমতি সাপেক্ষে বন্ধ করতে হবে।
৪। হিজামা করাতে আসার সময় সাথে ঢিলে ঢালা কাপড় (লুঙ্গি, স্কার্ট, ম্যাক্সি) ও শর্ট প্যান্ট / আন্ডারগার্মেন্টস নিয়ে আসবেন।
২ বছর বয়স থেকে যে কোন বয়সের মানুষ হিজামা করাতে পারবেন।
ঠিকানা: করবী হাউজ, ৬ষ্ঠ তলা। যমুনা ব্যাংকের পাশে, (আলিফ হসপিটাল গলি), লাকসাম রোড, টমছমব্রীজ, কুমিল্লা-৩৫০০
WhatsApp+88 018 89 992 881